ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ , ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র : ব্যাকফিড পাওয়ার পেলেই উৎপাদন শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৭-১২-২০২৪ ০১:১২:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-১২-২০২৪ ০১:১২:৫৬ অপরাহ্ন
​পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র : ব্যাকফিড পাওয়ার পেলেই উৎপাদন শুরু
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যাকফিড পাওয়ারের অপেক্ষায় রয়েছে পটুয়াখালীর ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ব্যাকফিড পাওয়ার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। পাওয়ার পেলেই ২০২৫ সালের মার্চে প্রথম ইউনিট এবং জুনে দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ বাণিজ্যকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পারবে। এই কেন্দ্র থেকে দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ ভাগ পূরণ হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের জন্য সর্বতোভাবে প্রস্তুত হয় গত অক্টোবরে। জেটি নির্মাণ, কনভেয়ার বেল্ট, টারবাইন, চুল্লি, কোলস্টোর, স্টিল স্ট্রাকচার, বয়লার, কুলিং টাওয়ার, ওয়াটার ফিড ও জেনারেটর বসানোর কাজ শেষে গত মে মাস থেকে এই কেন্দ্রটি ব্যাকফিড পাওয়ারের জন্য আবেদন করলেও অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধের কারণে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি সৃষ্টি হওয়ায় নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে পড়ে।
গত জুলাইয়ে এই পাওয়ার পেলে অক্টোবর মাসের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে পারতো এই কেন্দ্রটি। চলতি মাসেই পরিপূর্ণ ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হতো। কিন্তু ব্যাকফিড পাওয়ারের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ এগিয়ে রেখেছেন এখানকার প্রকৌশলীরা।
নোরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরএনপিএল) পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা ও লাইম স্টোন মজুদ করা হয়েছে। সম্পন্ন হয়েছে বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য দরকারি কয়লা আমদানির চুক্তি, যা চলতি মাস থেকেই আসতে শুরু করবে। ব্যাকফিড পাওয়ার পেলে তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ইউনিট-১ পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে পারবে। তিনি বলেন, ‘কয়লা ভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ব্যাবহার করা হয়েছে  সর্বাধুনিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। ফলে পরিবেশের ওপরেও তেমন ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পরবে না।
জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে এই প্রকল্পের নিজস্ব অর্থায়নে ২০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনসহ একটি সুইচিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এক সপ্তাহের মত পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রেখে সুইচিং স্টেশনটি চালুর মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে  স্টার্টআপ পাওয়ার দেয়া হলে টেস্টিং কমিশনিং সম্পন্ন করে মার্চ মাসে প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট ও জুন মাসে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এতে দেশে চলমান বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকাংশে কমে যাবে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিএল) নির্বাহী প্রকৌশলী (তড়িৎ) আসিফ আহমেদ।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নোরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড যৌথ বিনিয়োগে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট। এটি নির্মাণে ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এটি পটুয়াখালীতে নির্মিত দ্বিতীয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ